অর্দ্ধ আনার ক্ষণস্থায়ী জীবন
By – Philip Parag Sen
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি বিভিন্ন মুদ্রা বের করেছে যার মধ্যে “অর্দ্ধ আনা” মুদ্রাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই মুদ্রার আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হ’লো এতে কোন মুঘল শাসকের নাম বা ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির নাম বা কোন মুদ্রন সালের উল্লেখ নেই কেবল স্বতন্ত্রভাবে মুদ্রার মান দিয়েই সার্কুলেটেড করা হয়েছে। তামার এই মুদ্রাটির কেবল দুটো সংস্করণ রয়েছে এর একটি হলো ১৮৩১ সালের (সার্কুলেটেড) ও অন্যটি ১৮৩৫ সালের (প্রুফ)।
১৮৩১ সালে মুদ্রার নুতন ভগ্নাংশ শ্রেণী চালু হলে সেই নীতি অনুযায়ী ২০০ দানা “ট্রয়” ওজনের অর্ধ আনা পাইস (১২.৯৫ গ্রাম) এবং এক পাই বা এক আনার দ্বাদশ ৩৩.৩৩ দানা “ট্রয়” (২.১৬ গ্রাম) নির্ণয় করা হয়। প্রসঙ্গত খুচরা লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেলে এই হাফ আনা ও সিঙ্গল পাই পিসের প্রচলন শুরু হয়।
কলকাতার মুর্শিদাবাদ টাকশাল থেকে মুদ্রিত ২৭.৭ মি.মিটারের এই মুদ্রার একদিকে ফারসি ভাষায় “নিম আনা” ও নাগরী ভাষায় “আধা আনা” এবং অপরদিকে ইংরেজিতে “হাফ আনা” ও বাংলায় “অর্দ্ধ আনা” উল্লেখ আছে।
১৮৩৫ সাল নাগাদ, চার্লস উইলকিন্সের ডিজাইন করা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পেটেন্ট মনোগ্রাম সংযুক্ত হাফ আনার নুতন মুদ্রা তৈরী হলে ক্ষনস্থায়ী আলোচিত মুদ্রাটির (১৮৩১-১৮৩৫) ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।