আফগান শের আলী খানের ডাকটিকিট
ডাকটিকিটের মজার কথা – ৪
By – Akhlaqur Rahman
১৮৭১ সালে আফগানিস্তান তার প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশ করে। ডাকটিকিটটি ছিল গোলাকার এবং এর ধার দিয়ে কোনও ছিদ্র (পারফোরেশন) ছিল না।
এই ডাকটিকিটের মাঝখানে একটা সিংহের ছবি ছিল। সিংহটা এমনই ক্রুড ভাবে আঁকা যে এটা বাঘ না সিংহ তা নিয়ে মানুষ দ্বিধায় পড়ে যায়। তবে ধারনা করা হয় এটি তৎকালীন আফগান শাসক শের আলী খানের প্রতীকী উপস্থাপনা। তিনি সিংহ বা শের এর মত সাহসী ছিলেন বলেই তাঁকে এই নামকরণ করা হয়েছিল। সিংহের চারিদিক ঘিরে আরবীতে মূল্যমান লেখা ছিল।
যে সময়ের কথা বলছি, তখন আফগানিস্তানে ডাকঘরের সিল ছিল না। আফগানিস্তানে ডাকঘরের নামাংকিত তারিখের সিল ব্যবহার শুরু হয় ১৮৯১ সাল থেকে।
শংকা থেকে যায় যে মানুষজন হয়ত একই ডাকটিকিট পুনরায় ব্যবহার করবে। এই আশংকা ঠেকানোর জন্য আফগান পোস্ট অফিস এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করলো। ডাককর্মচারী নিজেই এই ডাকটিকিট খামের উপর লাগিয়ে দিতেন তবে লাগানোর আগে এই ডাকটিকিটের এক কোনা দাঁত দিয়ে ছিড়ে দিতেন যেন এই ডাকটিকিট দ্বিতীয়বার ব্যবহার না করা যায়।
আরও কথা আছে। সাধারণত, ডাকটিকিটের একটি নক্সা করে তা কপি করে একটা সম্পূর্ণ শীট ছাপানোর প্লেট তৈরী করা হয়। তাই একটা শীটের সবগুলো ডাকটিকিট একই রকম হয়। কিন্তু আফগান সিংহের ডাকটিকিটের প্লেটের সবগুলি নক্সা আলাদা আলাদা করে করা। তাই এই ডাকটিকিটে ভিন্নতা খুব বেশী।
এই ক্রুড ডিজাইন, নক্সার ভিন্নতা আর সিল না থাকার কারনে এই ডাকটিকিট খুব বেশী নকল হয়েছে। আর বিশেষজ্ঞর পরামর্শ ছাড়া এই ডাকটিকিট না কেনাই ভাল।