December 22, 2024
ডাকটিকিট

চিরকালীন চলমান ডাকটিকিট

যে ডাকটিকিটের মেয়াদ থাকবে আজীবনঃ

যাদের অনেক চিঠি পাঠাতে হয়, বিশেষ করে ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান, তারা একসাথে অনেক ডাকটিকিট কিনে রাখে। কিন্তু সমস্যা হয় যখন ডাকমাশুল বেড়ে যায়। নিজেদের স্টকে কতগুলো আগের দামের ডাকটিকিট আছে তা হিসাব করে ঠিক ততগুলো এই বেড়ে যাওয়া অংশের দামের ডাকটিকিট কিনে আনতে হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে একটা চিঠি পাঠাতে পাঁচ টাকা লাগে। ধরা যাক, আপনার কাছে ৯২৭ পিস পাঁচ টাকার ডাকটিকিট থাকা অবস্থায় ডাকমাশুল হয়ে গেল ছয় টাকা। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডাকঘরে যেয়ে নতুন করে ৯২৭ পিস এক টাকার ডাকটিকিট কিনতে হবে। কিন্তু ৩৮৪টা চিঠি পাঠানোর পরেই যদি আবার ডাকমাশুল আরও এক টাকা বেড়ে যায়?

এই সমস্যা শুধু ব্যবহারকারীর নয় বরং ডাক বিভাগেরও। চলতি ডাকমাশুল বদলে যেতে পারে এই আশংকায় ডাক বিভাগ চলতি মানের ডাকটিকিট একসাথে খুব বেশী ছাপিয়ে রাখতে পারে না। ডাকমাশুল পরিবর্তনের সাথেসাথে ডাক বিভাগকে আবার নতুন ডাকটিকিটের নকশা করে, ছাপিয়ে তারপর বিতরণ করতে হয়।

এই সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন দেশ চিরকালীন ডাকটিকিট (Forever/ Permanent Postage Stamps) প্রকাশ করে। এই ডাকটিকিটে কোনও মূল্য লেখা থাকেনা বরং ফার্স্ট ক্লাস, সেকেন্ড ক্লাস ইত্যাদি লেখা থাকে অথবা কিছুই লেখা থাকেনা। এই ডাকটিকিট যখনই কেনা হোক না কেন, একটি প্রথম শ্রেণীর ডাকটিকিটে যে কোনও সময়ে একটা চিঠি প্রথম শ্রেণীর ডাকে পাঠানো যায়।

ধরা যাক, ২০০৭ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ফরএভার ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়, তখন আপনি একচল্লিশ সেন্ট দিয়ে একটা ফরএভার ডাকটিকিট কিনেছিলেন। সেই ডাকটিকিট দিয়ে আজকে আপনি একটা চিঠি পোস্ট করতে পারবেন যদিও এখন একটা চিঠি পাঠানো খরচ পঞ্চান্ন সেন্ট। আর আজকে পঞ্চান্ন সেন্ট দিয়ে কিনে রাখা একটা ফরএভার ডাকটিকিট দিয়ে আজ কিংবা আগামী যে কোনও দিন আপনি একটা চিঠি পাঠাতে পারেন।

সময়ের সাথে হিসাব করলে আপনার বিনিয়োগ হয়তো তেমন লাভজনক নাও হতে পারে তবে হঠাৎ করে যখন চিঠি পাঠানোর খরচ এক বা দুই সেন্ট বেড়ে যায়, তখন এই ঘাটতি পড়া দামের আলাদা ডাকটিকিট কিনে আনা একটা যন্ত্রণার কারন হয়ে দাঁড়ায়। সে কারনে যাদের অনেক অনেক চিঠি পাঠাতে হয় তারা এই ফরএভার ডাকটিকিট বেশী পছন্দ করেন।

Written by: Akhlaqur Rahman

Let's share this post
error: